চাঁদপুর সদর উপজেলার মেঘনা নদীর দক্ষিণের চর এলাকা উর্বর কৃষিজমি। তবে মাছের ঝিলের নামে এসব ফসলি জমির মাটি কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ইটভাটায়। এর প্রতিবাদ জানিয়েছে স্থানীয় কৃষকসহ এলাকার শত শত সচেতন মানুষ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চাঁদপুর সদর উপজেলার হানারচর ইউনিয়নের গোবিন্দপুরে মাছের ঝিলের কথা বলে কৃষিজমির মাটি ভেকু দিয়ে কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছেন এলাকার হানু খান ও আনু খান। এর ফলে পাশের জমিগুলো ভেঙে বন্ধ হয়ে গেছে পানি নিষ্কাশনের খাল। যে নালা ধরেই বর্ষায় এ মাঠে পানি প্রবেশ করে এবং নিষ্কাশন হয়। পলি পড়ে উর্বর হয় জমি, শুষ্ক মৌসুমে উৎপাদন হয় একাধিক ফসল।
স্থানীয় কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘যুগ যুগ ধরে এ মাঠে ফসল করে আসছি আমরা। ধান, আলু, ভুট্টা, শাকসবজি আবাদ হয়েছে। এখন মাটি কেটে নেয়ায় ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে। এ ব্যাপারে আমাদের সঙ্গে কোনো ধরনের আলাপও করা হয়নি।’ জমির মাটি কেটে নিয়ে যাওয়া ব্যক্তি আনু খান অবশ্য বলেন, ‘আমাদের জমিতে ফসল হয় না। তাই আমরা মাছের ঝিল করার জন্য মাটি কাটছি।’
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আয়শা আক্তার বলেন, ‘জমির ওপরের অংশের মাটি কেটে বিক্রি করা ফসলের জন্য খুবই ক্ষতিকর। হানারচরে কৃষিজমির যে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি হচ্ছে তা জেনেছি। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবহিতও করেছি।’
চাঁদপুর সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. হেদায়েত উল্যাহ বলেন, ‘বালি ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুসারে কৃষিজমি থেকে মাটি ড্রেজিং কিংবা অন্য কোনোভাবে কেটে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই। কেউ যদি করে থাকে তাহলে তাদের বিষয়ে আমরা সোচ্চার আছি।’