পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পৃথিবীর মানুষের খাদ্যনিরাপত্তা নিয়ে নতুন নতুন ভাবনা তৈরি হচ্ছে। সেখানে বড় সম্ভাবনার নাম সামুদ্রিক শৈবাল।
উন্নত পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার হিসেবে এটির ভালো বাজার আছে দেশের বাইরে। সুপারফুড হিসেবে পরিচিত খাদ্যদ্রব্যটির দেশের বাজারেও চাহিদা তৈরি হচ্ছে। আর এটি চাষ করতে তেমন কোনো উপকরণ লাগে না, তেমন খরচও নেই। চাষের খরচ বলতে শুধু বাঁশ আর রশি কেনা। এর মাধ্যমে শৈবালের বীজ বেঁধে লোনাপানিতে ডুবিয়ে রাখলে এমনিতেই বেড়ে যায়। কোনো পরিচর্যাও করা লাগে না।
ইনস্টিটিউটের সরেজমিন কৃষি গবেষণা বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. হারুনর রশিদ বলেন, ‘শৈবাল চাষের জন্য আমরা কয়রার ৬০ জন কৃষককে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। শৈবালের বীজও চাষিদের সরবরাহ করেছি।
দেশ ও দেশের বাইরে শৈবালের ভালো বাজার আছে। আমরা যদি কাঙ্ক্ষিত বাজার ধরতে পারি, তাহলে আশা করা যায় বাংলাদেশের অর্থনীতিতে শৈবাল একটি বিপ্লব ঘটাবে।’
আমরা আশা করছি, ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসপ্রবণ এলাকার ভুক্তভোগী কয়রার মানুষ সামুদ্রিক শৈবাল চাষের মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়াবে। সেই সঙ্গে অন্যান্য উপকূলীয় এলাকাকে পথ দেখাবে। সামুদ্রিক শৈবাল চাষে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে তোলায় কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রতি আমরা সাধুবাদ জানাই।